জৈন্তাপুর প্রতিনিধিঃঃ জৈন্তাপুর মডেল থানায় দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে সিলেটের জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি ও সমাজকর্মীরা। রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমানের কাছে এ স্মারকলিপি পেশ করেন তারা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদ, ১৭ পরগনা শালিশ সম্বন্নয় কমিটির সভাপতি আবু জাফর মোহাম্মদ আবুল মৌলা চৌধুরী, সিলেট জেলা পরিষদ সদস্য মো. মুহিবুল হক মুহিব, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. বশির উদ্দিন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পলিনা রহমান।১নং নিজপাট ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. ইয়াহিয়া, ২নং জৈন্তাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ফখরুল ইসলাম, ৩নং চারিকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুলতান করিম, ৫নং ফতেহপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. রফিক আহমদ, ৬নং চিকনাগুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান চৌধুরী।জৈন্তাপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মো. ফয়েজ আহমদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ প্রচার সম্পাদক আব্দুর রহমান, দরবস্ত ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আলহাজ্ব বশির উদ্দিন, ইউপি সদস্য মুসলিম আলীসহ উপজেলার বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
স্মারকলিপি সূত্রে জানা যায়, গত ২ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টায় জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত বাজারস্থ সিলেট তামাবিল মহাসড়কের উপরে শ্রীপুর সীমান্ত থেকে প্রায় ১৫/১৬ কিলোমিটারের ভিতরে বিজিবি-১৯ এর আওতাধীন, লালাখাল বিজিবি কর্মকর্তা মো. মাসুদ আলমের নেতৃত্বে কতিপয় বিজিবি সদস্য দরবস্ত বাজারস্থ সিলেট তামাবিল মহাসড়কে দুটি খালি ডিআই পিকআপ চালকসহ আটক করে। আটকের খবরে স্থানীয় উৎসুক জনতা বিষয়টি জানার জন্য আটকৃত গাড়ী গুলোর পাশে ভিড় করেন। তখন বিজিবি সদস্যরা অবস্থার বেগতিক মনে করে, স্থানীয় চেয়ারম্যানের মোবাইলে ফোন দেন। কিন্তু ফোন রিসিভ না হওয়ায় লোক পাঠিয়ে বিজিবি সদস্যরা চেয়ারম্যানকে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসেন। চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয় জনতাকে শান্ত করার জন্য এবং অপ্রীতিকর ঘটনা ও পরিস্থিতি উপলদ্ধি করে তা নিয়ন্ত্রন করার জন্য আটককৃত গাড়ীগুলো ছেড়ে দিতে বিজিবি সদস্যদের অনুরোধ করেন। তার অনুরোধের প্রেক্ষিতে বিজিবি গাড়ীগুলো ছেড়ে দেন এবং একসাথে বসে চা নাস্তা করেন।
ঘটনাস্থলে স্থানীয় জনতা ও বিজিবির মধ্যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটলেও কে বা কারা বিজিবি সদস্যদের প্ররোচিত করে ৪নং দরবস্ত ইউনিয়নের একাধিক বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান বাহারুল আলম বাহারকে ১নং আসামী করে জৈন্তাপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং-০১/০২-০২-২০২২ইং, জিআর নং-১৯/২০২২ইং। এ মামলা দায়েরের ফলে এলাকায় জনমনে চরম অসন্তোষ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।এমতাবস্থায় জনপ্রিয় চেয়ারম্যান বাহারুল আলম বাহারের উপর দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারসহ এর সুষ্টু তদন্তের দাবী জানিয়েছেন জৈন্তাপুর উপজেলার জনপ্রতিনিধি ও সমাজকর্মীরা।
বিএ/৭ ফেব্রুয়ারি